New Bengali Poem নতুন নতুন কিছু বাংলা কবিতা Bangla Kobita

New Bengali Poem নতুন নতুন কিছু বাংলা কবিতা Bangla Kobita

মনের ভেতর জমে থাকা কিছু কথাকেই সাজিয়ে গুছিয়ে লিখে ফেলাই হয়তো কবিতা (bangla kobita)। যা কিছু বলতে চেয়েছি অথচ পারিনি তাই লিখে গেছি কোনো এক খাতার পৃষ্ঠায়। সেখান থকেই আপনাদের জন্যে রইলো বাংলা ভাষায় লেখা নতুন নতুন কিছু কবিতা (new bengali poem) আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

 

||ঋনী||

আপনার বজ্রবিদ্যুৎ-ভর্তি খাতা,
মাথায় নিয়ে থাকবো ঋণী।
খুচরো শব্দ দেবেন, এক দু-হাতা
আমরা যারা আপনারে চিনি..
আলেয়া হ্রদে নুন ছিটিয়ে
আজ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করো,
পাওনা গণ্ডা না মিটিয়েই
হাত দুটোকে করবো জড়ো।
এক বসন্ত আসে-যায়, সূর্য যেমন অস্তগামী।
তিনি আছেন,থাকবেন।হৃদয়ে। জয় গোস্বামী..

 


 

|| কোথায় আপনি? ||

“যেতে পারি কিন্তু কেনো যাবো?”,যেতে দিচ্ছে কে?
আমরা যারা না দেখেও স্বপ্নে আঁকি আপনাকে।
মনের নদে বইঠা বেয়ে এখনো চলেন আপনিও
মাঝে মাঝেই চেঁচিয়ে ডাকেন,”অবনী বাড়ি আছো”।
ব্যাকুল মনের ঘুম ভাঙে।অন্ধকারে খুঁজে বেড়ায়,
কোথায় তিনি, কোথায়?কোথায়,শক্তি চট্টোপাধ্যায়…

 


 

|| স্বপ্ন ||

সামান্য ফোঁটা ফোঁটা ব্যস্ততা। কিছু অজুহাত।
বিবর্ণ ইচ্ছে।ভিক্ষে কুড়োই আঁচল পেতে।
আবেগ জমে।সন্দেহের।দারিদ্রতার দিন বা রাত…
স্বপ্ন ভাঙে। অবিশ্বাস নামে। রক্তমেঘের অল্পেতে।
স্পর্শ পেলাম। তোমার ছোঁয়া। অবাধ্য মনে-তেই…
ব্যর্থতার পাহাড় ডোবে।তুমি সামনে এসে দাঁড়াতেই।

New Bengali Poem


 

|| তুমি-আমি ||

তুমি ঠোঁটের দরজা খোলো
আমি মুখ লাগাবো কিসে?
তুমি জাপ্টে ধরে বোলো,
আমি ভরিয়ে দেবো কিস-এ…

তুমি হাত বোলাবে পিঠে,
আমি জড়িয়ে ধরবো তোমায়…
তুমি শব্দ করো মিঠে,
আমি থাকবো গভীর কোমায়…

তুমি আঁতকে উঠবে ভয়ে,
আমি ভরবো কালি রিফিলে…
তুমি বলছো যদি কিছু হয়,
আমি ভরসা রেখেছি পিল-এ…

তুমি হুক খুলবে ব্রা-এর,
আমি অন্ধকারে তোমায় চিনছিনা…
তুমি কি আঁকবে ছবি আমার গা-এ?
আমি যে লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি না…।

 


 

|| ভিক্ষে… ||

ছায়াপথ ধরে হেঁটে গিয়ে দেখো,
যেখানে সমুদ্দুরে মিশেছে আকাশ।
আমার হৃদয়ের গোধূলি রঙ মেখো,
সেখানে ঘর ভেঙেছে তুরুপের তাস।
তোমার শরীরে এখন বাসা বেঁধে থাকি,
পারলে সরিয়ে নিও তোমার ঠিকানা।
দুবেলা অন্ন জোটেনি যার। সে নাকি…
মিথ্যে স্বপ্ন দেখে,প্রেম কিনবে চার আনার।
তোমার চোখের কাজল মুছে ভিক্ষে দিও, পারলে…
আমিও মৃতদেহ হব। ভালোবাসার অসুখ সারলে।

 


 

|| ভুলে যাওয়ার সময়সীমা ||

আঁধার থেকে শিশির এনে মিটিয়েছিলাম তেষ্টা।
অভিনয়।বিষাদ।যন্ত্রণা।দমিয়ে রাখার চেষ্টায়…

আর ক’পাতা লিখলে বলো তোমার মন পাবো।
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে জেতার আগে,হারতে শিখে যাবো।

প্রেমের আঘাত ব্যথা হলে, লোকে তোমার কথা বলে।
সব ‘ফুঁ’তে আগুন নেভেনা, তীব্রভাবেও জ্বলে।

ঠিকানাবিহীন নিখোঁজ হবে, সব আগুনের ফুলকিরা…
আমার মধ্যে তুমিই থাকো, যেমন সুনীলের মধ্যে নীরা।

উগ্রতার গন্ধ ছোটে পাড়ায় পাড়ায়, তোমার ঠোটের আস্তিনে…
তোমায় ভুলতে সময় নেবো,আর বড়জোর মাসতিনেক।

 


 

|| ক্ষমা ||

সে রাতে কথা শেষ হয়।জ্বর আসে।
ঘুমেরও ঘুম পায়না। ঝিমিয়ে বসে থাকে।
তুমি এসে দাঁড়াও।ফোন করো। আশেপাশে।
অপরিচিত।অচেনা অতিথি ভেবেছিলে তাকে।
নতুন দিনের শুরু হলে, ভুল গুনে ভুল ধোরো।
অপরাধীর অপরাধ হলে। মার্জনা কোরো।
ভুল বুঝে ভুল করেও তাকে কোরোনা ক্ষমা।
দোষটুকু কাছে টেনে আজ ঘুমিও প্রিয়তমা।

 


 

|| মৃত্যু ||

যেখানে রক্ত ঝড়েছে,পড়ে আছে শিশুদের লাশ,
অন্যের বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে যাওয়া গুলি,শোক…
আগুন জ্বালো ভেতর ভেতর, নিভে যাক জঙ্গিবাহিনীর শ্বাস।
ধিক্কার হিংসাকে…বন্দুক-এ ভালোবাসা ভরা হোক।

চুপিসারে আঘাত। বোমা।ধ্বংসে চাপা পড়ুক ভয়।
আর কোনো মৃত্যুই যেন কবিতার টপিক না হয়।

Notun Bangla Kobita


 

|| গতকাল ||

কারোর কিছু হারানোর নেই।
বহুযুগ কেটে গেছে। কাঠ।
গাছেরা বিশ্বাসী ক্ষমাতেই।
ঘৃনার বয়স বাড়ে। ষাট।

কারোর কিছু শোনার নেই।
খুচরো কষ্টের ভাগ। দায়ী।
মুক্তিতে শিউরে উঠবে সে’ই।
গলে যাবে হৃদয়। উদ্বায়ী।

কারোর কিছু বলার নেই।
দিগন্তে মিশে যায় কান্না।ঘ্রাণ।
নিজের শত্রু আজ নিজেই।
চুল্লিতে পোড়ে জন্ম। প্রাণ।

কারোর কিছু পাওয়ার নেই।
হিংসা মাখা ভাত। চাল।
দুমুঠো অবহেলা জুটতেই।
তারা এসে ফিরে গেলো। গতকাল।

 


 

|| অস্ত ||

দু’চোখে ভীড় করে শব্দেরা। পাখিদের ছিলো ভুল।
মিছিলে হেঁটেছিলে তুমি। উড়েছিলো খোলা চুল।

কিছুটা শহর পেরিয়ে। এখনও তোমায় হয়নি খোঁজা।
অপেক্ষার ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁয়ে। তবেই ভাঙবো রোজা।

তিন চুমুকের পর শান্তি। চিরে দাও নখের আঁচড়ে।
যেভাবে খাঁচায় বন্দী পাখি। তোমার বুকের ভেতর ওড়ে।

এ মনে আলো নিভে এলো। তোমার হাতে অন্যের হাত।
অস্বীকার হয় কথা। হাওয়ায় ছোটে যন্ত্রণার কালো রাত।

মিথ্যে তো মধূর মতো। সত্যের কখনও লাগেনি চিনি।
তোমার কথা ভেবে ভেবেই। ঘুমেরা অস্ত যায় প্রতিদিনই।

 


 

|| বর্ষা ||

এ বুকে জল জমে যায়। মনেরই রাস্তা খারাপ।
বর্ষায় জল ঢুকেছে। আজও ওই তোমার পাড়ায়।

উপবাস করার পরে যে শুধু খিদে’য় মরে।
ভেসে যায় স্রোতের টানে। নিজেকেই আঁকড়ে ধরে।

ক্ষতের বীজ রোপণ করা। লোকে তবু বলবে বোকা।
ঠোঁটের ওই ব্যালকনিতে, কি করে আঘাত শোকাও?

শহরের মেঘলা দিনে। লাস্ট ট্রেনে ঘুম ফেরত দিতে।
আমাকে সঙ্গে রেখো। তোমায় আবার কুড়িয়ে নিতে।

 

 


 

|| রাস্তা ||

ঘর থেকে বেড়িয়ে
নিজেই নিজেকে এড়িয়ে
ভুলে যাই ফেরার রাস্তা।

অন্ধকারে চিঠি হাতে
নিজেই নিজের সাথে
খুঁজে মরি তোমার আস্তানা।

এ বুকে আগুনের শ্বাস
হৃদয়ে করেছে গ্রাস
আলোতে জোনাকির ভয়।

খুশিতে মরতে রাজি সেও
তোমার ওই কারসাজিকেও
জং ধরে হতে হবে ক্ষয়।

জমতে থাকা ব্যথা তারও
ক্রমে ক্রমে বেড়ে যায় আরও
আঁকড়ে থাকা উদ্ভিদের।

তবুও ক্ষতদের বনে
ছুটে যায় মনে মনে
যেভাবে চলন হয় ট্রপিকের।

বাংলা কবিতা


 

|| ফন্দি ||

শত কথার মাঝে নীরবতার বন্দিকে,
বাড়িতে এসোনা,বলেছি ফন্দিকে।
দুদিকে যাওয়ার পথ। যাবো কোনদিকে?
দিকভ্রান্ত…

অর্ধেক জীবন খুশিময় ছবি।
বাড়ি এসে বলেছিলো তোমারই বান্ধবী।
যে সফল নয়, সে’ই তো কবি।
শুধু সে জানতো…

কাঁচা হাতে লেখা তোমার চিঠি গুলি।
পূব থেকে পশ্চিমের দিকে খুলি।
যেভাবে ঘুমানোর পর তোমাকে ভুলি।
প্রতিদিনই দুবেলা…

নৌকোয় বসে থাকা আরামের গাড়িতে।
তোমার প্রেমিক এসে চমকে গেলো বাড়িতে।
“এখুনি থামাও লেখা, এখানেই দাঁড়িতে”।
বোঝো ঠেলা…

 


 

|| টেলিফোন ||

ঠিক,
খুঁজে পেলো দিক,
অচেনা নাবিক,
পেরোয় সময়…

দাম,
কিনেই নিলাম,
লুকোনো খাম,
জমানো ভয়…

ভোর,
ক্ষতের গহ্বর,
লুকোয় শহর,
কেউ মানে না…

মন,
দুটি টেলিফোন,
বাজবে কখন,
কেউ জানে না…


 

|| সর্বনাশ ||

হঠাৎ কুয়োর ভেতর ঝাঁপ,
হাত বাড়িয়ে তুলে নাও আমায়।
ঝেড়ে ফেলেছি সমস্ত পাপ,
দেখি এবার কে এসে থামায়।

গা বেয়ে উঠে আসছে হাত,
ব্লেডের ধারে কাটতে শনির দশা।
তোমার কথার মতো। অকস্মাৎ।
শব্দ কেটে শব্দের উপর বসাই।

পালাবার পথ নেই। কেঁদে ভাসাই।
স্মৃতির চিরুনি দিয়ে ঘর বোনা।
একটাই প্রশ্ন এসে চলে যায় তাই,
তোমার চোখে দেখা আমার সর্বনাশ।

নতুন নতুন আরো কিছু বাংলা কবিতা

 

|| স্লোগান ||

তোমার ওই মিথ্যে হাসি
আমিও খুব সাহসী
তাইতো ডুবতে আসি

নিয়ম করেই…

হাওয়াতে উড়ছে স্লোগান
ভবিষ্যতের বন্ধ দোকান
বোতামে আঘাত লোকান

এদিক থেকে ওদিকেই…

বখে গেলো সঙ্গদোষে
পাড়াতে বিখ্যাত সে
তোমার নামে কুকুর পোষে

তুমি যাকে মারতে গেলে…

তোমার ভেতর একটা লোক
আজকে তোমায় দেখতে গেলো
এবার তুমি বলেই ফেলো

এই কি সেই ছেলে?


 

|| ইমেল ||

যেদিকে ফাঁকা পথ। খালি। নিঃস্ব।
সেদিকেই ভীড় বেশি। রাত নেমে এলে
এপাড়া থেকে ওপাড়ায় একই দৃশ্য।
রাস্তায় ঘুরে মরে গ্রাজুয়েট ছেলে।

বিষণ্ণতার কলমটুকু সঙ্গী তার
‘বেকারত্ব’ করেছে সেটাও ভোঁতা।
চোখ বুজলেই ভবিষ্যৎ। অন্ধকার
ঘরের কোনে উজ্জ্বল হয় ব্যর্থতা।

কেউ নেই যার, তার থেকে শেখা…
অবসাদ বসে থাকে রাজার আসনে।
চলে এসো কপালে লিখে দি ‘বেকার’
সকলে মিলে, গ্রুপ ডিসকাশনে…

চাকরি হবে। হাতে হাতে আগে দাও। আবেদন পরে পাঠিও।
কোথায় কতোটা গুঁজে দেবো। টাকা। ইমেল মারফত জানিও।


 

|| নিখোঁজ ||

বিকেল গড়িয়ে রাতের দিকে
বলছি এখন মেঘের বান্ধবীকে ছাড়ো
মনখারাপ থেকে জমেছে ছাই
এবার নিজের জন্যে বাঁচতে চাই আরও

দুঃখ জমাট বাঁধে বরফে
তোমার শরীরে লেখা হরফে মেশাই
কুচি করে কাটা স্মৃতিদের
ভুলে যাওয়াটা মানুষের নেশাই

হঠাৎ বেজে ওঠা দূরভাষে
যেন মনকেমনের গন্ধ আসে রাতে
যে চোখ বিষণ্ণতায় বোনা
তবুও একমুঠো জল ছিলোনা তাতে

রোজ দেওয়াল দেখে শব্দ শুনি
জানতে পারি নিজের খুনি নিখোঁজ


 

|| বোকা ||

বোকা দর্শকের মন চেয়ে খেলা দেখানোরই মঞ্চে
কোনো এক গ্রামে গঞ্জে জোকার সাজেন যিনি

ভেবে যন্ত্রণাকে গুরু মেরে নিজের পায়েই কুড়ুল
জীবন শূন্য থেকে শুরু করছি আমরা প্রতিদিনই

আবেগ লোহার মতোন ভারী তবু বদলে নিয়ে বাড়ি
আমরাও খোলস ছাড়ি সময় এগিয়ে চলে যতো

আশা মেঘলা একটা দিন ব্যথা অন্ধকারেও রঙিন
জীবন মিলিয়ে দেওয়া কঠিন অন্ত্যমিলের মতো

সেও বিষণ্ণ এক ছেলে তোমার মনের দিকে গেলে
দুএক ফোঁটা বিষ ঢেলে অল্প মিশিয়ে দিও স্নেহে

মানুষ আজন্মকাল আজব তারা ভুলতে জানে সব
লুকিয়ে রেখে একটা শব নিজেই নিজের দেহে


 

|| বিশ্বাস ||

তিন ছিপি বিশ্বাস। সাথে বিটনুন।
ছুঁয়ে ছুঁয়ে খেলাম। তোমারই দিব্যি।
আমিও ঘুমন্ত । তোমার হাতেই খুন।
আমাকে মুছে ফেলে…কার নাম লিখবি?
বাপেরও বাপ থাকে। সকলেই জানে।
মনে মনে কেউ কেউ ভগবান মানে।


দীপঙ্কর দাসের লেখা বাংলায় এই কবিতা গুলো আপনাদের কেমন লাগলো? যদি ভালো লেগে থাকে তবে বন্ধুদের সাথে  শেয়ার করতে একদম ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল – Bengalicaptions

আরো কিছু দুই লাইনের কবিতা – রোম্যান্টিক ক্যাপশন 

বাংলা ভুতের গল্প- বিল্টুর বাড়ি একরাত 

আরো কিছু বাংলা কবিতা