Bangla Anu Kobita অনু কবিতা – bengalicaptions.com

Bangla Anu Kobita অনুকবিতা – bengalicaptions.com

বাংলায় লেখা কবিতার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হলো অনুকবিতা। মূলত কয়েকলাইনের মধ্যে অনেক কথা ও গভীরতা অন্তর্নিহিত থাকে এই ধরনের কবিতায়।বাংলা ভাষায় দুই লাইন, তিন লাইন, চার লাইন, ছয় লাইন, আট লাইন অর্থাৎ স্বল্প লাইনের এই ধরনের কবিতাকেই অণুকবিতা Bangla Anu Kobita  হিসেবে বিবেচিত করা হয়। Bangla Anu kobita কালেকশন থেকে আপনাদের জন্যে রইলো বিশেষ কিছু অণুকবিতা। Bangla anu kobita bangla short kobita 4 line poem প্রেমের অনু কবিতা লিমেরিক কবিতা অনু কবিতা চার লাইনের কবিতা বাংলা অণুকবিতা ক্ষুদ্র কবিতা ছোট কবিতা আধুনিক কবিতা শর্ট কবিতা bengali short poem bengali kobita short anu kobita onu kobita Bangla Anu Kobita.

 


Sad Bengali Anu Kobita

এ বুকের মাঝে কোনও বারান্দা নেই
তুমি এসে আলো জ্বেলে যাও রোজ
ঘুমের মন্ত্রটি বলে দিলে কানে কানে
তোমাকেও আজ ভুলে থাকা সহজ


 

তোমাকে সযত্নে রেখে বিলিয়েছি ঘুম
ব্যর্থতা’র জানলায় ফিরে আসে চাঁদ
এই বসন্তও যেন হারানোর’ই মরশুম

ক্লান্ত রাতের বিনিময় গিলি অবসাদ


 

উড়ে চলার ক্লান্ত পাখি

কামড় বসায় অন্ধকার,
শিকল পড়া বাঁধন খুলে
মুক্ত হওয়া দরকার।


কিপ্টেমি করা বিকেলগুলোর মাঝে,
ছায়াপথ ধরে ট্রেন ছুটে যায় উৎসবের..
একটু একটু করে ধাক্কা দিতে দিতে নিভে যায় সময়,
জলের উপর চাঁদ যেমন ক্ষনিকের…


লিমেরিক কবিতা Anu Kobita

কি আছে হৃদয়ে? খুলে দেখতাম। যন্ত্র নেই…
কেন ছুটে যাই বৃথা? বিনা আমন্ত্রণে।
রাতেরা তো চিরকালই নীরব শ্রোতা।
বিকল্প খুঁজে খুঁজে ভালো থাকাই প্রথা।
তবুও তোমায় ভুলে থাকার কেন কোনও জানা মন্ত্র নেই?


Bangla Anu Kobita

কেটেছো হৃদয়গাছ, প্রতি কুড়ুলের ঘা’এ
অযথা কেটেছো কথা, প্রতিবারই ফোনে
আর্তনাদ চাপা দিলে, নীরবতা শোনা যায়
একলাটি বসে কাঁদে যারা মনের উঠোনে


না বলা কথারা সব রয়ে যায় উহ্য,
পথ চলে যায় এদিক-ওদিক, আঁকে-বাঁকে..
আদর ভরা শ্যাওলা মেখে, তুমি যাকে খুঁজছ..
সে কি আঙুলের ফাঁকে লুকিয়ে থাকে?


হঠাৎ দেখা,থমকে দাঁড়াই,
জানিনা কেনো?আবারো।
রিংটোনটা বেজেই ওঠে..
ইঁউ হি পেহ্‌লু ম্যা ব্যাইঠে রাহো,
আজ জানে কি জিদ না কারো…


মন কষে দেয় জটিল অঙ্ক
যোগ বিয়োগের গুনে,
কোন সে দূরে হৃদয় ভাগ হয়,
অনিচ্ছাকৃত খুনে।

আরো দেখুন >> pahar নিয়ে ক্যাপশন 


আগাছা জমুক মনকেমনের ঘরে,
স্মৃতির দোষে কোন জ্বরেতে কাবু?
দুমুঠো রোদ যেন ছায়ার দিকে সরে,
ভাবেতে ভাবতে আমরাও যেন ভাবুক।


তিন ছিপি বিশ্বাস। সাথে বিটনুন।
ছুঁয়ে ছুঁয়ে খেলাম। তোমারই দিব্যি।
আমিও ঘুমন্ত । তোমার হাতেই খুন।
আমাকে মুছে ফেলে…কার নাম লিখবি?
বাপেরও বাপ থাকে। সকলেই জানে।
মনে মনে কেউ কেউ ভগবান মানে।


চোখে চোখ রেখে কেটে গেছে মেঘ।
কেটে গেছে তোমাকে হারানোর ভয়…
এ শহরের বুকে নামা বৃষ্টির আবেগ,
তোমার দুহাতে আজ সঁপেছে হৃদয়।

 


বুকের ভেতর আগুন,
শীতে মুখ থেকে ধোঁয়া।
ঠান্ডায় জমেছিলাম জুনে,
তোমার হাতের ছোঁয়ায়।


তোমায় ছুঁয়ে বলছি সোনা,
ওরকম ভুল আর হবে না…
দিব্যি খেয়ে মিথ্যে বললে,
বিশ্বাস ছাড়া মানুষ মরেনা।


মাতাল হাসি, নখের আঁচড়,
বিষাক্ত চুম্বন আর চাইছিনা।
মনের ভিতর জমেছে পাথর
আর কেবল দু-এক কাপ ঘৃণা।


কুকর্মে লিপ্ত যারা, বুদ্ধি দিয়ো
যেন তাদের বিবেক সত্তা জাগে।
তোমার নামেই অঞ্জলি হোক,
মানুষ হওয়ার বিদ্যে শিখুক আগে।


আবিরে লেগে থাকে মুখ।বিচ্ছেদের কাটা ঘায়ে নুন।
ধুয়ে নিলে ব্যথারা কমে যাবে ঠিক। বৃষ্টি আসুক।
ছ্যাঁকা লাগে শরীরে। ক্ষতদের নিভে যাওয়া আগুনে,
পুতুলেরা রঙ মাখুক গালে। মানুষ মন নিয়ে খেলুক।


আঙুলের ডগা থেকে খসে পড়ে বোমা।
সমুদ্রে ডুবে যায় মন। শব্দ ভেসে আসে দ্রুত।
কেঁপে ওঠে কন্ঠ।ছায়ারা ঘিরে ধরে তোমায়।
হেঁটে ফেরে মানুষ। সম্পর্ক জড়িয়ে যায় সুতোয়।


মন পুড়ে ছাই, বরফ গলে
সেই জলেতে জাহাজ চলে।
যতোই চেঁচাও তারস্বরে,
উড়োজাহাজ ফেরেনা বন্দরে।


পাখিরা ঘুমোয় ঠোঁটে সব মৃত গাছেদের শোকে
যতদূরেই চোখ যায় ঠিক ততদূর সকলেই খুনী
ঈশ্বরও লিখেছেন চিঠি দুষে পাহাড়ের ভাগ্যকে
আকাশের বুক ফাটে। মেঘেদের করতালি শুনি…


চার লাইনের কবিতা:-

 

হাঁটতে হাঁটতে দাঁড়িয়ে থাকে অপেক্ষা,
ফুটপাথে মিশে যায় ধুলো।
এভাবে বিলীন হয় নক্ষত্রেরা,
ফাঁকা পড়ে থাকে হৃদয়ের ঘরগুলো।


প্রেম কয়জনের পরিণতি পায়?
বুকের ভেতর চিতাকাঠ জ্বলে।
আবহাওয়া দপ্তর পূর্ভাবাস জানায়,
বৃষ্টি নামবে চোখের জলের…
ভালোবেসে কিইবা পেলাম,
মরা আগুন, উড়ন্ত ছাই, আর কাঠকয়লা।


যতটা মন পুড়ে গেছে,
ততটা শরীরে বেড়েছে বয়স ইটের।
নিখোঁজেরা বাড়ি ফিরে এলে,
মুহূর্তেরা ঘুরে বেড়ায় ট্রেনের টিকিটে।


তোমার ঠোঁটে ঝাপসা অক্ষর মুছে দিতে হবে ফের…
পারলে পারতাম লিখে দিতে তাতে কয়েক’শো শের…
আমি তো আর কলম নই, মির্জা গালিবের…


 

সোহাগ এসে ঝাপটে ধরে আরো,
আদরের টুকরো লেগে থাকে গালে।
হৃদস্পন্দন বাড়তে থাকে তারও,
তুই কাজল কালো চোখে তাকালে।

 


কোনো এক শান্ত নদীর তীরে,
অনাদরে বেড়ে ওঠা চারাগাছও…
লুকিয়া রাখা ক্ষতের গভীরে,
ব্যথার রেওয়াজ জারি রাখে আজও


 

মুহূর্ত থেকে মুহূর্ত বয়ে যায়,
কিছু স্মৃতিচিহ্ন এখনো হাতে গোনা।
নিমেষে উধাও বিষাদ ঘূর্ণিঝড়। পুরানো অভিজ্ঞতায়-
আর কখনও নিজেকে খুঁজতে আসবো না।


আরো কবিতা >> Bengali Caption

দুই লাইনের কবিতা>> Two line poem